ফুটবল হলো বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় খেলা, বিশ্বের ১৪৭ টা দেশে ফুটবলের জাতীয় দল আছে তাহলে বোঝা যায় এই খেলা মানুষের মাঝে কেমন প্রভাব রাখে, ফুটবলের ইতিহাস অনেক লম্বা তবে যদি গত চার দশক হিসাব করি যারা ফুটবলকে উচ্চ অবস্থানে নিয়ে গেছে তাদের মধ্যে সেরা ১০ জন খেলোয়ার যারা সর্বকালের সেরা ফুটবলারের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, আপনারা যারা জানতে চান তাদের জন্য ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকাকরা হলো, এই নিবন্ধে ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা দশ জন ফুটবলারের তালিকা করা হলো।
ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকা
ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকাটি যেটি ফিফা মেনশন করে থাকে, তাদের খেলার ধরন তাদের রেকর্ড এই ফুটবলার গুলোর অর্জন, মেজর ট্রফি সব হিসাব করেই এই তালিকা।
10. নাম্বারে আছে মিশেল প্লাতিনি ( Michel Platini )
মিশেল প্লাতিনি একজন ফ্রান্সের ফুটবলার, তিনি মিডফিল্ড হয়ে খেলতেন, তার ফুটবল ক্যারিয়ার ছিলো সুপারম্যানের মতো, ধরা হয় ফুটবলে ফ্রান্স তার মাধ্যমে দিয়ে অন্য লেভেলে গেছে, প্লাতিনি দশ নাম্বার জার্সি পরে খেলতেন ক্লাব ফুটবল ন্যাশনাল টিমে ছিলেন দুর্দান্ত। তিনি সর্বকালের সেরা প্লেয়াদের একজন বলে বিবেচিত।
প্লাতিনি সে সময়ের প্রথম ফুটবলার যে এক টানা তিনবার ব্যালন-ডি’অর জিতেছিলেন যথাক্রমে ১৯৮৩, ১৯৮৪ এবং ৮৫ সালে, সাথে ফিফা প্লেয়ার আর দ্যা সপ্তম স্থানে ছিলেন।
ফুটবল জীবনে তিনি ন্যান্সি, সেন্ট এটিন আর জুভেন্টাসের ক্লাবের হয়ে খেলছেন, তার খেলা এতো ভালো ছিলো যে তাকে লে রই ডাকতেন যার অর্থ দ্যা কিং, প্লাতিনি ক্লাব ফুটবলে ৫ ম্যাচে ৯ গোল করে সবাইকে অবাক করে দেন। ৮০ দশকে ফুটবলে মিশেল প্লাতিনি ছিলেন সেরা খেলোয়ার।
9. জোহান কুরুইফ ( johan cruyff )
জোহান কুরুইফ একজন ডাচ ফুটবলার, নেদারল্যান্ডস জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড এবং মিডফিল্ডার, পেশাদার ফুটবলার হিসাবে জোহান ১৯৭১, ১৯৭৩ এবং ১৯৭৩ সালে তিনবার ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। ১৯৭০ দশকের শুরুর দিকে ডাচ ফুটবল পাওয়ার হাউজে পরিণত হয় যেটার পিছনে কুরুইফের অবদান স্পষ্ট।
কুরুইফ ১৯৭৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে নিয়ে যান যার জন্য তাকে টুর্নামেন্টের সেরা প্লায়্যার হিসাবে গোল্ডেন বল দেই ফিফা।
আজকের এই আধুনিক ফুটবলের পিছনে জোহান কুরুইফের মতো খেলোয়ারদের অবদান আছে, ১৯৭৬ সালে উয়েফা ইউরোতে নেদারল্যান্ডস তিন নাম্বার পজিশন পান । কুরুইফ তার ক্লাব ফুটবলের শুরুটা করে Ajax এর হয়ে, এই ক্লাবের হয়ে তিনি আইটি এরেডিভিসি শিরোপা এবং তিনটা ইউরোপিয়ান কাপ এবং একটা ইন্টারকোটিনেন্টাল কাপ জেতান।
পরে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা তাকে রেকর্ড দামে বার্সেলোনাতে ট্রান্সফার করান যেটা তখনকার সময়ে বিশ্বরেকর্ড, এখানেও তিনি সফল ক্লাবে জয়েন করে প্রথম মৌসুমে বার্সেলোনাকে লা-লীগা টাইটেল জিততে সাহায্য করেন, যেটার জন্য তাকে বর্ষসেরা ইউরোপিয়ান ফুটবলার নির্বাচিত করা হয়।
১৯৮৪ সালে তিনি ফুটবল থেকে অবসর নেন, এবং Ajax ম্যানেজার ও পরে বার্সেলোনার ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, জোহান কুরুইফ সত্যিকারের একজন ফুটবল লিজেন্ড।
8. রোনালদো নাজারিও ( Ronaldo Nazario )
পুরোনাম রোনালদো লুইস নাজারিও ডি লিমা সাবাই তাকে রোনালদো নামে ডাকে, জনপ্রিয়তার জন্য R9 নামেও ডাকা হয়, তিনি একজন ব্রাজিলিয়ান লিজেন্ড একই সাথে একজন ফুটবল লিজেন্ড, তিনি ব্রাজিল জাতীইয় দলে স্ট্রাইকার হিসাবে প্রফেশন ফুটবল জীবন কাটিয়েছেন।
তার ব্যাক্তিগত অর্জেনে রয়েছে তিনবার ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়ার নির্বাচিত হওয়া এবং দুইটা ব্যালন ডি’অর জেতা। মাল্টি ফাংশানাল স্ট্রাইকার হিসাবে তিনি নতুন জেনারেশনের জন্য একটা ছাপ রেখে গেছে।
১৯৯৬ সালে বর্সেলোনা তাকে বিশ্ব রেকর্ড দামে নিজেদের দলে ভেড়ান R9 কে, মাত্র ২০ বছর বয়সে তরুণ ফুটবলার হিসাবে ১৯৯৬ সালে ফিফা প্লেয়ার অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হন।
পরবর্তীতে ইন্টার মিলান রোনালদো সাইন করানোর জন্য বর্সেলোনা ট্রান্সফার রেকর্ড গুড়িয়ে দেন যা দিয়াগো ম্যারাডনার ওয়ার্ল্ড ট্রান্সফার রেকর্ড দুবার ভাঙার সমান। রোনালদো মাত্র ২৩ বছর বয়সে ক্লাব ফুটবল এবং ন্যাশনাল টিমের হয়ে ২০০ গোলের রেকর্ড স্পর্শ করেন। তবে বড় প্রতিপক্ষ ছিলো ইনজুরি যেটা তাকে ফর্মহীন করে দিয়েছিলো।
ইন্টার মিলান থেকে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর ২০০২ -৩ লা-লীগা শিরোপা জেতান । রোনালদো তার ফুটবল ক্যারিয়ারে তিনাবার ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ যেতেন। তাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলাদের একজন বলা হয়।
7. জিনেদিন জিদান ইতিহাসের সেরা ফুটবলার
জিনেদিন জিদান বা জিজু, ফ্রান্সের গতির ফুটবলের নায়ক। জিদান এটাকিং মিডফিল্ডার হিসাবে ক্লাব এবং জাতীয় দলে খেলতেন, একজন মিডফিল্ডারের থেকেও তার স্কীল অনেক বেশি, তার কমনীয়তা, লং পাস, বল রিসিভ, বলের নিয়ত্রন এমন ভাবে করতেন যেটা ছিলো দেখার মতো।
১৯৯৮, ২০০০ এবং ২০০৩ সালে ফিফা প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন, সেই সাথে ১৯৯৮ সালে ব্যালন ডি’অর জেতেন, ১৯৯৬ সালে জিদান ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে জোগ দেন সেখানে তিনি দুইটা সিরিএ টাইটেল জিতিয়েছিলেন জুভেন্টাসকে। আর ততক্ষনে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ জিদানকে সাইনিং করানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন।
২০০১ সালে ৭৭.৫ মিলিয়নে তাকে রিয়াল মাদ্রিদে ট্রান্সফার করা হয় যেটা ছিলো বিশ্রেরকর্ড, তিনি ৮ বছর রিয়াল মাদ্রিদকে সার্ভিস দিয়েছেন এই আট বছরে একবার লা-লীগা টাইটেল এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলীগ সহ বেশ কিছু টাইটেল জিতেছিলেন। জিদান ১০৯৮ সালে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ জেতে, ফাইনালে গোল করে হয়ে যান অল-স্টার দলের সদস্য।
২০০০ সালে উয়েফা ইউরো জেতেন আর সেবার প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হন জিদান, জিদান তার পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে ছিলেন অন্যন্ন যার জন্য তাকে ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকাই রাখা হয়।
6. আন্দ্রেস ইনিয়েন্তা ইতিহাসের সেরা ফুটবলার
পুরোনাম আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা লুজান তিনি একজন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার তাকে শুধু মিডফিল্ডার বললে ভুল হবে তিনি সর্বকালের সেরা মিডিফিল্ডার এং একজন গ্রেটেস্ট ফুটবলার। ইনিয়েস্তা তার ফুটবল ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় ক্লাব বার্সেলোনাতে খেলেছেন, ২০২২ সালে ১৮ বছর বয়েসে তার ফুটবল ক্যারিয়ারে অভিষেক হয়।
ইনিয়েস্তার ক্যারিয়ারের সব থেকে সুন্দর সময় গেছে ২০০৯ এবং ২০১৫ সালে তিনি ঐতিহাসিক ট্রেবল জিতেছিলেন, এই সময়ের মধ্যে তার হাতে ৩৫ টি ট্রফি ওঠে যার মধ্যে ৯ টা লা-লীগা টাইটেল এবং চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলীগের টাইটেল ছিলো।
ইনিয়েস্তাকে বলা হয় স্পেনের সব থেকে উজ্জ্বল ফুটবলার, মিডফিল্ডে একাই দাপিয়ে বেড়াতেন পুরো মাঠ, ইনিয়েস্তা ২০০৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবলে অভিষেক করেন, ২০০৮ সালে UEFA ইউরো জিতে টিম স্পেন আর সেই টুর্নামেন্টের প্রতি ম্যাচেই সেরা প্লেয়ার নির্বাচিত হন ইনিয়েস্তা।
২০১০ সালে ফিফা বিশ্বকাপ জেতে স্পেন, ইনিয়েস্তা প্রথম ফিফা বিশ্বকাপের স্বাদ পান, এখানো পুরো টুর্নামেন্টে তার খেলা ছিলো দেখার মতো। লিওনেল মেসির পর প্রথম ৫ টা ব্যালন ডি’অর পেছনে ছিলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা।
5. ওয়েন রুনি
ওয়েন মার্ক রুনি একজন ইংলিশ ফুটবলার, ইংল্যান্ডের জাতীয় দল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফরোউয়ার্ড এবং মিডফিল্ডের দায়িত্ব পালন করতেন, রুনি তার প্রজন্মের সেরা ফুটবলার, সে একাধারে ইংল্যান্ডের জাতীয় দল এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বচ্চ গোলদাতা।
রুনি , প্রিমিয়ার লীগ, এফএ কাপ, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলীগ, লীগা কাপ, উয়েফা ইউরোপা লীগ এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ যেটা একমাত্র ইঙ্গরেজ ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলো। রুনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ২৫৩ গোল করেন যেটা ইউনাইটেডের ইতিহাসে সর্বচ্চ।
রুনি ২০৮ টা প্রিমিয়ার লীগ গোল করেন যেটা প্রিমিয়ার লীগ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বচ্চ গোলের রেকর্ড, যার জন্য ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকাই তাকে রাখা হয়।
এছাড়াও রুনি ১০৩ টা লীগে এস্টিস করেছেন যেটা থার্ড রেকর্ড এস্টিস, রুনি এখনো অবধি ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়ার, বিশ্বকাপে তার গোল সংখ্যা ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বচ্চ যেটার জন্য তাকে দেশসেরা খেলোয়ার পুরষ্কার দেওয়া হয়।
4. ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ( CR7 ) ইতিহাসের সেরা ফুটবলার
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো দোস সান্তস আভেইরো একজন পুর্তগালের জাতীয় দলের অ্যাটাকিং প্লেয়ার, ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকার প্রথম সারির একজন, যিনি পুরো ইউরোপের রাজত্ব করেছেন তার ক্যারিয়ারের পুরো সময়। সারা বিশ্বে রোনালদোর কোটি কোটি ভক্ত আছে, যিনি মিঃ চ্যাম্পিয়নন্স লীগ, ও একটা গোল মেশিন, আধুনিক ফুটবলের গট, ক্লাব এবং ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল মিলিয়ে তিনি একমাত্র ফুটবলার যে এখন সর্বচ্চ গোলের মালিক।
রোনালদোর অর্জনে রেকর্ডের ছড়াছড়ি, রোনালদো পুর্তগালের ইতিহাসে সর্বচ্চ গোল স্কোরার, একই সাথে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবলেরও সর্বচ্চ গোল স্কোরার। রোনালদো স্টাইলিশ ফুটবলের আইকন, ১৯৯৭ সালে পুর্তগীজ ক্লাব স্পোটিং সিপির হয়ে তরুণ ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন, আর এখান থেকেই তিনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার স্যার এলেক্স ফার্গুসনের নজর কাড়েন।
স্যার এলেক্স রোনালদোকে ২০০৩ সালে ১৫ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সাইন করান, সেই বছরই রোনালদো ইউনাইটেডের হয়ে এফএ কাপ জেতেন, এবং পর পর তিনটা মৌসুম প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জেতেন, এর মধ্যে একটা চ্যাম্পিয়নন্স লীগ জেতেন, এবং ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতিতে সাহায্য করেন।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটড থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়ার হয়ে ওঠেন, রোনালদো ইংল্যান্ডের প্রথম খেলোয়ার যিনি প্রধান চারটি পিএফএ এবং এফডাব্লউএ পুরস্কার জিতেছেন ২০০৭ সালে।
ওই একই বছর ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, ফিফপ্রো প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার, এবং ওয়ার্ল্ড সকার প্লেয়ার অফ দ্যা ইয়ার জেতেন। সাথে ওনজে দ’অর জেতেন।
২৩ বছর বয়েসে প্রথম ব্যালন ডি’অর অর্জন করেন, এর পরের সময়টা আরো সুন্দর হয়ে ওঠে ২০০৯ সালে লা লীগা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ তাকে ১৩১.৬ মিলিয়নে রিয়াল মাদ্রিদে নিয়ে আসেন যেটা সে সময়ের সর্বচ্চ রেকর্ড দাম ছিলো, রোনালদো ২০০৮ এবং ১১ সালে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জেতেন।
মাদ্রিদে আসার পর তার চির প্রতিপক্ষ মেসির সাথে ব্যালন ডি’অরের রেসে নামেন, এখানে তিনি চারটা ব্যালন ডি’অর জেতেন, সেই সাথে রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বচ্চ গোল স্কোরার হয়ে ওঠেন, মাদ্রিদের হয়ে দুটো লা লীগা, দুটো কোপা দেল’রে চারটা চ্যাম্পিয়নন্স লীগ সহ মোট ১৭ টা টাইটেল জেতেন।
২০১৫,১৬, ২০১৭ সালে একটানা তিনবার চ্যাম্পিয়নন্স লীগ জেতেন, এরপর ১০০ মিলিয়ন ইউরোতে ইতালিয়ান ক্লাব জভেন্টাসে জোগ দেন সেখানেও টপ টাইটেল জিতেছেন। বর্তমানে রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে খেলছেন।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো যে রেকর্ড করে গেলে ফুটবলে সেটা কখনো ভাঙা সম্ভব না। রোনালদো ইতিহাসের সেরা ফুটবলার হয়ে থাকবে যতদিন ফুটবল থাকবে।
3. লিওনেল মেসি ইতিহাসের সেরা ফুটবলার
লিওনেল মেসি ফুটবলের এলিয়েন বলা হয় যাকে, তিনি আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড, ফুটবলের যত অর্জন সবটা করেছেন তিনি। শুধু অধরা বিশ্বকাপ তবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে সেটাও পূর্ণ করেন মেসি। মেসি ফুটবলের ম্যাজেশিয়ান তার খেলার ধরন সবার থেকে আলাদা, প্রতি পক্ষের ডিফেন্স ভেদ করে গোল করা তার কাছে ডাল ভাত, ক্লাব ফুটবলে মেসি বার্সেলোনাতে তার ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় ব্যয় করেছেন, বর্তমানে তিনি ইন্টার মায়ামিতে খেলছেন।
তার ব্যাক্তিগত অর্জনের মধ্যে আছে ৭ টা ব্যালন ডি’অর, যেটা বিশ্ব রেকর্ড, এছাড়াও ছয়টা উরোপিয়ান গোল্ডেন বুট, মেসি তার বার্সা ক্যারিয়ারে দশটা লা-লীগা শিরোপা, সাতটা কোপা দেল’রে ক্লাবের হয়ে জিতেছেন এছাড়াও চারটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্সলীগ সহ একটি ক্লাবের হয়ে ৩৫ টা ট্রফি জিতেছেন।
মেসি ইতিহাসের সেরা গোলদাতাদের একজন লা-লীগাতে ৪৪৭ গোল করেছেন, ইরোপীয় লীগে ৫০ টা এবং চ্যাম্পিয়ন্সলীগ ৮ , তার ক্যারিয়ারের মোট গোল সংখ্যা ১০৬৪ টি। মেসি ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারদের একজন। এবং এই নামটা সব সময়ই উপরের দিকে থাকবে।
আরো পড়ুন >> মেসি রোনালদো পরিসংখ্যান ২০২২
2. দিয়েগো মারাদোনা ইতিহাসের সেরা ফুটবলার
দিয়েগো মারদোনা আর্জেন্টিনার লিজেন্ড ফুটবলার, তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকাই তিনি সর্বদা দুই সাম্বারে আছেন, ফুটবল ক্যারিয়ারে তিনি যেমন ঝলমলে ছিলেন তেমনি বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য বিতর্কিত হয়েছেন।
তিনি ক্লাব ফুটবলে বার্সেলোনা এবং নে[পোলির হয়ে তার ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় পার করেন, আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছিলো মনে রাখার মতো যার জন্য তিন সর্বকালের সেরা ফুটবলাদের একজন।
তিনি আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৩৪ টা, ফিফা বিশ্বকাপ খেলেছেন চারটি, তার অধিনায়কত্বে আর্জেন্টিনা দুইবার ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে, মারদোনা হাত দিয়ে টিম আর্জেন্টিনা ১৯৮৬ ফুটবল বিশ্বকাপ জেতে।
তিনি কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হাত দিয়ে গোল করেন যেটা হ্যান্ড অফ গড নামে পরিচিত, এবং একটা ইতিহাস।
1. পেলে ইতিহাসের সেরা ফুটবলার
পেলে একজন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার যিনি ফরোয়ার্ড অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। পেলে ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার, তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের সর্বচ্চ গোল স্কোরার এবং তিনবার ফিফা বিশ্বকাপ জেতা একমাত্র ফুটবলার। তিনি ৬৯৪ ম্যাচ খেলে ৬৫০ গোল করেছেন । এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করেছেন। তাকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গেলে যেটা পাবেন সুধু সাফল্য। পেলে একজন ফুটবলের কিংবদন্তি ও ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের একজন।
ইতিহাসের সেরা ১০ ফুটবলারের তালিকা এবং আপনাদের প্রশ্ন উত্তর
ইতিহাসের সেরা ফুটবলার কে ?
উত্তর – ইতিহাসে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হয় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে, এর পরেই লিওনেন মেসি এবং ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। যদি একই ভাবে কাউকে বলা হয় তাহলে পেলে সর্বকালের সেরা ফুটবলার।
সর্বকালের সেরা স্ট্রাইকার কে ?
উত্তর – পেলে ( ব্রাজিল )
২০২৩ সালে বিশ্বের সেরা ফুটবলার কে ?
উত্তর – 2023 সালের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি যিনি ২০২২ সালে বিশ্বকাপ জয়ী এবং বায়ার্ন ইন্টার মায়ামির ফরোয়ার্ড, এরপরে আছেন কাইলিয়ান এমবাপ্পে ও কেভিন ডি ব্রুইন।
(সব খবর প্রতি মুহূর্তে পেতে ফলো করুন আমাদের Google News পেজে )