পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল ২০২৪, পর্তুগাল নামটার সাথে বাংলাদেশের খুব কম মানুষই পরিচিত যেভাবে আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিল নামটার সাথে পরিচিত সেভাবে পরিচিত না, কিন্ত যারা ফুটবল দেখেন, সেটা সিজেনাল ফুটবল ফ্যান হোক বা অন্য কিছু তারা পর্তুগাল নামটা খুব ভালো করেই চেনে, আর এই পর্তুগালকে চেনার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর। শুধু পর্তুগাল না গোটা বিশ্বের কাছে ফুটবলকে অন্য মাত্রায় পৌছে দিয়েছেন তিনি।বাংলাদেশে যারা পর্তুগালের ফ্যান, যারা পর্তুগাল ফুটবল দলকে ভালোবাসেন তাদের জন্য পর্তুগাল ফুটবল দলের প্লেয়াদের নাম এবং সকল কিছুর তথ্য এখানে তুলে ধরবো।
পর্তুগাল ফুটবল দল ২০২৪
পর্তুগাল ইউরোপের ফুটবলে শক্তিশালী দল গুলোর একটা, ২০১৬ সালে ইউরো ফাইনালে ফ্রান্সকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপের ফুটবলের রাজার মুকুট পরে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর দল। সে সময়ে নানি, ইডার, কোয়ারেশমা খেলেছিলেন কিন্ত বর্তমানে অনেক তরুণ ফুটবলার জাতীয় দলে আছে যারা ২০২৪ সালে পর্তুগাল জাতীয় দলের সাথে চুক্তিবন্ধ। বর্তমান পর্তুগালের সাথে ডাইমন্ড জেনারেশন এসেছে যাদের সাথে রোনালদোর মতো অভিজ্ঞ ফুটবলারের কম্বিনেশনে বিশ্বের যে কোন দলকে আনায়াসে হারানো সম্ভব, সাম্প্রতি এক রিসার্চে উঠে এসেছে যে বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় লিগ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব গুলো পর্তুগালের প্লেয়াদের কিনতে বেশি আগ্রহী। শুধু তাই না পর্তুগাল দ্বিতীয় দেশ যাদের সবচেয়ে বেশি প্লেয়ার প্রিমিয়ার লিগে খেলেন।পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল ও খেলোয়ারদের নাম
বর্তমান পর্তুগাল ফুটবল দলে আছেন প্রতিভাব সব ফুটবলার যাদের নিয়ে পর্তুগিজ কোচ ফার্নান্দো সান্তোস ভাল সম্ভাবনা দেখেন তরুণ এবং পুরোনা প্লেয়াদের নিয়ে সাজানো পুর্তগাল দল।রুই প্যাট্রিসিও ( গোলকিপার ) – Rui Patricio
রুই প্যাট্রিসিও পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের গোলকিপার, ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে পর্তুগালে জন্মগ্রাহন করেন, রুই অসাধারণ একজন গোল রক্ষক, তিনি ইতালিয়ান ক্লাব রোমার দ্যি গ্রেট ওয়াল হিসাবে খেলেন। রুই ২০১৬ সালে ইউরোতে ফ্রান্সের বিপক্ষে অসাধারণ সব গোল সেভ করেন যেটার জন্য ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে জয় পায় পর্তুগাল।রুই সিলভা ( গোলকিপার )
রুই সিলভা পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার তিনি একজন গোলকিপার, সিলভা লা লিগা ক্লাব রিয়াল বেটিসের হয়ে গোল রক্ষকের ভূমিকা পালন করেন, ২০২৪ সালে পর্তুগাল ফুটবল স্কোয়ার্ডে রুই সিলভাকে দেখা যাবে। পর্তুগাল ফুটবল দলের গোলকিপার- রুই প্যাট্রিসিও
- রুই সিলভা
- দিয়াগো কস্তা
ওটাভিও ইডমাইলসন দ্যা সিলভা ( মিডফিল্ডার )
ওটাভিও পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার, তিনি মিডফিল্ডার এবং কখনো তার পজিশন পরিবর্তন করে অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসাবে খেলেন। ওটাভিও প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব পোর্ত-র হয়ে খেলেন, ২০২৪ সালে পর্তুলার জাতীয় দলের হয়ে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন এবং তিনি ভবিষ্যত পর্তুগাল দলেও খেলবেন।ব্রুনো ফার্নান্দেস ( অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার )
ব্রুনো ফার্নান্দেস পর্তুগাল ফুটবল দলের একজন প্রতিভাব খেলোয়ার, তিনি প্রিমিয়ার লিগের সব থেকে জনপ্রিয় দল ম্যানচেস্টার ইউনাইডের হয়ে খেলেন তিনি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার পজিশনে, বর্তমান প্রিমিয়ার লিগে সেরা মিডফিল্ডারদের মধ্যে তিনি একজন। ২০১৭ সালে পর্তুগাল জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান এখনো পর্যন্ত ৫৭ টা আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ খেলেছেন পর্তুগালের হয়ে বিপরীতে গোল করেছেন ১৫ টা, এবং অনেক এসিস্ট আর আছে।রেনাতো সানচেজ ( মিডফিল্ডার )
রেনাতো সানচেজ একজন দ্রুতগতির ফুটবলার, তিনি যখন মাঠে থাকে ততক্ষণ প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াদের গতির পরীক্ষা নেন, অসাধারণ সব পাস, প্রয়োজনে গোল , এসিস্ট সব করতে পারেন।বার্নাদো সিলভা ( অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার )
বর্তমান পর্তুগাল দল এতো শক্তিশালী হওয়ার কারণ তাদের দলে বার্নাদো সিলভার মতো অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার আছে, বার্নাদো সিলভা পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়ার এবং তিনি বর্তমান প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার, বার্নাদো সিলভা শুধু পর্তুগাল না , বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারদের মধ্যে একজন। ২০২৪ সালে পর্তুগাল স্কোয়ার্ডে তিনি পার্মানেট খেলোয়ার।পর্তুগাল ফুটবল দলের মিডফিল্ডার
- ওটাভিও ইডমাইলসন
- ব্রুনো ফার্নান্দেস
- রেনাতো সানচেজ
- বার্নাদো সিলভা
- ভিটোর ফিরিইরা
- মায়থিউস নুয়াস
- রুবেন নাভাস, দানিও পেরেইরা এবং জোয়াও মৌতিনহো
পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলের ডিফেন্ডারদের নাম
বর্তমান পর্তুগাল দলে সেরা কিছু ডিফেন্ডার বা রক্ষণভাগের খেলোয়ার আছে যাদের জন্য বিপক্ষ দলের খেলোয়ার পর্তুগালের জালে বল জড়াতে ব্যার্থ হন।পেপে ( ডিফেন্ডার )
পেপে পর্তুগিজ লিজেন্ড ফুটবলার, সময়ের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন, জিতেছেন ইউরো ২০১৬, তিনি বর্তমান জাতীয় দলের সাথে চুক্তিবদ্ধ, পেপে যে দলে খেলবে সেই দলের ডিফেন্স শক্তি বাড়বে, এক সময় লা লিগা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন, জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগও, বর্তমানে তিনি পুর্তগিজ পেশাদার লিগের দল পর্তোর হয়ে খেলেন।জোয়াও ক্যানসেলো ( ডিফেন্ডার )
জোয়াও ক্যানসেলো বর্তমান সময়ের সেরা ফুটবল প্লেয়ার, তিনি পর্তুগাল জাতীয় দলের ডিফেন্ডার এবং ফুলব্যাক হিসাবেও খেলে থাকেন, গোল করতে পারেন, লং পাস করতে পারেন দারুণ, প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলেন নিয়মিত, তাকে দলে রাখতে পছন্দ করেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওয়াল। ২০২৪ সালে তিনি পর্তুগালের হয়ে প্রতিটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন।রুবেন দিয়াজ ( ডিফেন্ডার )
পর্তুগাল দলের সেরা ডিফেন্ডার বা রক্ষণভাগের খেলোয়ার, তিনি প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে হয়ে খেলেন এবং কোন কোন ম্যাচে ক্যাপ্টেন হন, দিয়াজ ম্যানসিটির দামি খেলোয়ারদের একজন।পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল ডিফেন্ডারদের তালিকা
- পেপে
- জোয়াও ক্যানসেলো
- রুবেন দিয়াজ
- নুনো মেন্ডিস
- দিয়াগো দালোট
- রাফায়েল গেহেইরো
- জোসি ফন্টি
পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল ফরোয়ার্ডের নাম
পর্তুগাল ফুটবল দলে আছে বিশ্বের সেরা ফুটবলার বা গোলমেশিন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, তার সাথে জোয়াও ফিলিক্স, দিয়াগো জোটার মতো উইংগার বর্তমানে আক্রমনভাগে এবং ফিনিশিং টিম পর্তুগাল টপ লেভেলের।ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ( ফরোয়ার্ড )
পর্তুগালের সর্বকালের সেরা খেলোয়ার হলো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, তার ভক্তরা CR7 নামে ডাকে অথবা কিং অফ ফুটবল বলে মানে, ক্রিস্তিয়ানো বিশ্বের নাম্বার ওয়ান গোল স্কোয়ারার, আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২১১ ম্যাচ খেলে ১৩০ গোল করেছেন যেটা বিশ্বের অন্য কোন ফুটবলার করতে পারেননি, গোল সংখ্যাই তার পিছনে পেলে, মারাদোনা, মেসির মতো খোলোয়ার অবস্থান করছে। রোনালোদ আন্তর্জাতিক গোলের পাশাপাশি তার ক্যারিয়ার গোলও আকাশ ছোঁয়া, ফুটবলে অন্য কোন প্লেয়ার তার রেকর্ড ছুঁতে পারবে কিনা সন্দেহ, তিনি ৫ বার ব্যালন ডি-অর জিতেছেন, ৫ টা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে, গোল্ডেন বুট, ইউরো ২০১৬ সহ অসংখ্য অর্জন তার নামের সাথে লেগে আছে। বর্তমানে তিনি পর্তুগাল ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন এবং সৌদি প্রো লিগের আল নাসর এর হয়ে খেলছেন, সারা বিশ্বে রোনালদোর ফ্যান বা সাপোর্টার সব থেকে বেশি।জোয়াও ফিলিক্স ( ফরোয়ার্ড )
ফিলিক্স পর্তুগাল জাতীয় দলের পেশাদার খেলোয়ার, এবং লা লিগার ক্লাব আতলেতিকো মাদ্রিদের উইঙ্গার, ফিলিস পর্তুগিজ ইয়াং ট্যালেন্ট , খেলার দারুণ ফিনিশিং দিতে জানে, ২০১৯ সালে পর্তুগাল জাতীয় দলে যোগ দেন তিনি।দিয়াগো জোটা ( ফরোয়ার্ড )
বর্তমানে পর্তুগাল ফুটবল দলের ভালো অ্যাটাকিং কম্বিনেশন হয় যদি দিয়াগো জোটা থাকে, তিনি অসাধারণ একজন খেলোয়ার, পর্তুগাল জাতীয় দল এবং প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লিভারপুলের উইঙ্গার তিনি, প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভেদ করতে তিনি দারুণ অ্যাটাক দিতে পারেন। ২০২৪ সালে তিনি পর্তুগাল দলের হয়ে সব গুলো ম্যাচ খেলেছেন।পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দল ফরোয়ার্ডের তালিকা
- ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো
- জোয়াও ফিলিক্স
- দিয়াগো জোটা
- রাফায়েল লেও
- আন্দ্রি সিলভা
- গোনসালো গুইডেস