আয়াতুল কুরসি আরবী ও বাংলা উচ্চারণ আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ জানতে চান অনেকেই। আয়াতুল কুরসি পবিত্র কোরআন শরীফের সবচেয়ে বড় সূরা, সূরা আল বাকারার ২৫৫ নাম্বার আয়াত। সূরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত, আয়াতুল কুরসিতে আল্লাহর গুণবাচক নামসমূহ স্মরণ করে তার পূর্ণ ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে। নিচে আয়াতুল কুরসি আরবী ও বাংলা উচ্চারণসহ আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ ও এর ফজিলত তুলে ধরা হলো।
আয়াতুল কুরসি আরবী ও বাংলা উচ্চারণ
হযরত আবুজর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন হে আল্লাহর রাসূল ( সা.) আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাবান সম্পন্ন কোন আয়াতটি নাযিল হয়েছে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, ” আয়াতুল কুরসি ” ( নাসায়ী)। নিচে আয়াতুল কুরসি আরবী ও বাংলা উচ্চারণ লিখিত আকারে দেয়া হল।
আয়াতুল কুরসি আরবী উচ্চারণ : وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
(সূরা আল-বাক্বারা আয়াত – ২৫৫)
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
আয়াতুল কুরসি বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি আয়াত। অনেকে যারা আয়াতুল কুরসি দোয়াটির আরবিতে পড়তে পারেন না তাদের জন্য থাকছে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ। নিচে আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ দেওয়া হল।
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ : আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ। ওয়াসিআ কুরসিইয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি। ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিইয়্যুল আ’জিম।
(সূরা আল-বাক্বারা আয়াত – ২৫৫)
আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ
আল্লাহতালা অসংখ্য নেয়ামত দিয়ে আল-কুরআনের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত আয়াতুল কুরসি নাযিল করেছেন। নিচে আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ দেওয়া হল।
আয়াতুল কুরসি বাংলা অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান
(সূরা আল-বাক্বারা আয়াত – ২৫৫)
আরো পড়ুন: শবে কদর ২০২৩ কত তারিখে
আয়াতুল কুরসির ফজিলত
আল্লাহ তাআলা আল কুরআনের সবচাইতে মর্যাদাবান আয়াতের মর্যাদা দিয়ে নাযিল করেছেন সূরা বাকারার ২৫৫ নাম্বার আয়াত আয়াতুল কুরসি। এ প্রসঙ্গে হযরত আবুজর জুনদুব ইবনে জানাদাহ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন হে আল্লাহর রাসূল ( সা.) আপনার প্রতি সবচেয়ে মর্যাদাবান সম্পন্ন কোন আয়াতটি নাযিল হয়েছে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিউত্তরের বলেছিলেন, ” আয়াতুল কুরসি ” ( নাসায়ী)।
নিচে আয়াতুল কুরসির ফজিলত সমূহ বর্ণনা করা হলো।
১. আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি রসূলুল্লাহ ( সা.) কে এ মিম্বারের কাঠের উপর বসে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ঘুমাবার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে, আল্লাহ তা‘আলা তার ঘর, প্রতিবেশীদের ঘর ও তার চারপাশের ঘর-বাড়ীর নিরাপত্তা দিবেন ” (শোয়াবুল ঈমান হাদিস নং ২৩৯৫)
২. হজরত আলী ( রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর আয়াতুল কুরসী নিয়মিত পড়বে তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে,প্রতিবেশির ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন”
আরো পড়ুন: রমজানের সময় সূচি 2023
আশাকরি আয়াতুল কুরসি আরবী অ বাংলা উচ্চারণ সঠিক ছবি আকারে দেওয়া হয়েছে উপর থেকে দেখে নিতে পারেন।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, সঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)