আজকের নিবন্ধে বাংলাদেশের বাজারে কিছু জনপ্রিয় এবং ভাল মানের আইপিএস এর দাম প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ভাল মানের আইপিএস এর মধ্যে ওয়ালটন, রহিম আফরোজ এই দুই ব্র্যান্ডের আইপিএসের দাম ৮ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের আইপিএস পাওয়া যায়।
আইপিএস এর দাম ২০২৩
বর্তমান সময়ে বাজারে ১৮ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের আইপিএস পাওয়া যায় । তবে ১ লাখ টাকার উপরেও অনেক আইপিএস রয়েছে। আপনি যদি টিভি,ফ্রিজ,আয়রন, এসি ইলেকট্রনিক জিনিস যেগুলো ও ব্যবহার করতে চান একসাথে তাহলে আপনি এক লাখ টাকার উপরে যে আইপিএসগুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
রহিম আফরোজ আইপিএস কোম্পানির কিছু আইপিএস এর দাম আমরা উল্লেখ করব মডেল নম্বর সহকারে পারেন। বর্তমান সময়ে বাজারে সেরা আইপিএলগুলো ভিতর শীর্ষে রয়েছে রহিম আফরোজ আইপিএস। রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম ২০২৩ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম
আইপিএস এর দাম ২০২৩ এ বর্তমানে বেড়েছে। বর্তমানে সময়ের কথা যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে বলা যায় যে রহিম আফরোজ আইপিএস সাশ্রয়ী ও ভালো হবে। সাধারণত রহিম আফরোজ আইপিএস এর সাধারণ মানের আইপিএস ৩৭ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা। এখানে আমরা রহিম আফরোজ কোম্পানির কিছু আইপিএস এর দাম উল্লেখ করবো।
মডেল: Rahimafrooz 350VA IPS Light Box
দাম: ৩৩ হাজার ৯৯০ টাকা
আইপিএসের ধরন: ইলেকট্রনিক
মডেল: Rahimafrooz RZ 1125 Sine Wave IPS
দাম : 59 হাজার 300 টাকা
আইপিএসের ধরন: ইলেকট্রনিক মডেল: Rahimafrooz RZ 950 Sine Wave IPS
দাম: 53 হাজার300 টাকা আইপিএসের ধরন: ইলেকট্রনিক মডেল: Rahimafrooz RZ 1650 Sine Wave IPS.
দাম : ৮৮ হাজার ৯০০ টাকা।
আইপিএসের ধরন: ইলেকট্রনিক মডেল: Rahimafrooz 550VA Full Set IPS Light Box.
দাম: ৪১ হাজার টাকা
আইপিএসের ধরন: ইলেকট্রনিক মডেল: Rahimafrooz Power Pack 1100VA IPS
দাম: ৫৫ হাজার ৫০০টাকা
আইপিএসের ধরন: ইলেকট্রনিক
ওয়ালটন আইপিএস এর দাম
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বড়ো ও বিশ্বস্ত পন্য উৎপাদনকারী কোম্পানি -টি হলো ওয়ালটন। আর এই ওয়ালটন কোম্পানিটি বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রনিক জিনিস তৈরি করে থাকে যেমন এসি,ফ্রিজ,টিভি,(ওয়াসিন) মেশিন,ল্যাপটপ,কম্পিউটার,আইপিএস সহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক জিনিস তৈরি করে থাকে। এখন আলোচনা করবো ওয়ালটন আইপিএস এর দাম ২০২৩। বর্তমান বাজারে রয়েছে রহিম আফরোজ,হামকো ছারা ও বিভিন্ন কোম্পানির আইপিএস। কিন্তু এই সব কোম্পানির পাশাপাশি ওয়ালটন বেশ জায়গা করে নিয়েছে আইপিএস জগতে।
কিছু ওয়ালটন আইপিএস এর মডেল ও দাম সহ নিম্ন দেওয়া হলো:
(১) মডেল : Walton High Voltage Ips WVS-600 SD মূল্য : ১২,০০ টাকা
(২) মডেল : Walton High Super Ips WVS-1000 SD মূল্য : ৩,৩০০ টাকা
(৩) মডেল : Walton Super WVS-1000SDR80V মূল্য : ৩,৮৯০ টাকা
(৪) মডেল : Walton SUPREME-2100JV (IPS) মূল্য : ৩,৯০০ টাকা
(৫) মডেল : Walton SUPREME-2100JV80V (STABILIZER) মূল্য : ৩,৩৫০ টাকা
(৬) মডেল : Walton RACY-S2200 মৃল্য: ৩,৫৫০ টাকা।
(৭) মডেল : Walton WVP-JV200 মূল্য: ৪,২০০ টাকা
(৮) মডেল : Walton WVS-1000HSD (Mini Ips) মূল্য : ১,৫০০ টাকা
(৯) মডেল: Walton WVP-JV15 (AUTOM ATIC VOLTAGE PROTECTOR) মূল্য : ৩,৪০০ টাকা
(১০) মডেল : Walton WIP-400SS (SLIM IPS) মূল্য : ১০,৫০ টাকা
(১১) মডেল : Walton WVS-1000LM80V মূল্য : ১১,৫০০ টাকা
সোলার আইপিএস এর দাম ২০২৩
সোলার আইপিএস মুলত সৌর শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। এবং সেই শক্তি ব্যাটারিতে জমা রেখে এই শক্তি পরে প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়।
সোলার আইপিএস মূলত দুই ভাবে ব্যবহার করা যায়।
এটি সোলার প্যানেল এর সাথে ব্যবহার করা যায় আবার সোলার প্যানেল ছারাও ব্যবহার করা যায় তা হলো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে।
এই সোলার আইপিএস ব্যবহারের ফলে আমাদের দেশে বিদ্যুৎের অনেক সাশ্রয় হচ্ছে। এছারাও মনুষের কষ্ট অনেকাংশেই কমছে এই সোলার আইপিএস এর কারনে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় রাতে যখন বিদ্যুৎ যায় তখন আমরা এই সোলার আইপিএস এর মাধ্যমে ফ্যান ব্যবহার করি ।
তাছাড়া বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যন্ত্রের চার্জ দিতে পারি। ২০২৩ সালে এসে আপনি সোলার আইপিএস এর দাম জানেন না এটা হতে পারে না। সেহেতু আপনাকে অবশ্যই সোলার আইপিএস এর দাম ২০২৩ সম্পর্কে জানতে হবে। ২০২৩ সালে একটু নিম্ন মানের প্রতি ওয়াড সোলার প্যানেলের দাম ৩৮ থেকে ৪২ টাকা। এবং তারথেকে একটু ভালো, মাঝারি মানের প্রতি ওয়াড সোলার প্যানেলের দাম ৪৩ থেকে ৫০ টাকা। এবং ভালো মানের সোলার প্যানেলের প্রতি ওয়ার্ডের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
তাহলে যদি আমরা সবথেকে ভালো মানের একটি ৫০ ওয়াড সোলার প্যানেল কিনেন তাহলে দাম হবে (৫০×৫০)=২৫০০ টাকা।
এরপর আপনাদের ব্যাটারি কিনতে হবে। সব থেকে ভালো ব্যাটারী যদি কিনতে চান তাহলে দাম হবে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা। যা দিয়ে আপনি অনায়াসেই দুইটি ফ্যান ও চারটি লাইট জ্বালাতে পারবেন আবার সেটাও ১০-১২ ঘন্টা। তাই যদি আপনি এই ২০২৩ সালে এসে একটি ভালো মানের সোলার আইপিএস কিনতে চান তাহলে মোট দাম হবে (২৫০০+৭০০০)=৯৫০০ টাকা।
তাই এই মূল্যে যদি আপনি একটি সোলার আইপিএস কিনেন তাহলে আমার মতামত হবে আপনি একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর আপনাদের আর এই লাইট বা ফ্যানের হাওয়ার কোনো চিন্তাই থাকবে না। করন এই সোলার আইপিএস এর সাহায্যে আপনারা অনায়াসেই ২ টি ফ্যান ও ৪ টি লাইট ব্যাবহার কারতে পারবেন সেটাও আমার ১০ থেকে ১২ ঘন্টা।লার এর
মিনি আইপিএস এর দাম ২০২৩
বাংলাদেশের কোম্পানি ছাড়াও এখন বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি তৈরি হচ্ছে। এই সকল কোম্পানি তৈরি করছে নানান ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এর মধ্যে আইপিএর এর বিভিন্ন ধরনের মডেল তৈরি করছে। আপনাদের সামনে নিম্নে তুলে ধরা হলো মিনি আইপিএস এর দাম ২০২৩ এর কিছু মডেল।
(১) মডেল : Combo-Z 400VA (হ্যামকো) মূল্য : ৯,৫০০ টাকা, ক্যাপাসিটি : ৪০০ VA
(২) মডেল : Combo Z-800VA (হ্যামকো) মূল্য : ১২,০০০ টাকা, ক্যাপাসিটি : ৮০০ VA
(৩) মডেল : Combo-800 (হ্যামকো) মূল্য : ১২,৫০০ টাকা, ক্যাপাসিটি : ৮০০ VA
(৪) মডেল : Hamko 1000VA Pure Sine মূল্য : ১৫,০০ টাকা, ক্যাপাসিটি : ৮০০ VA
(৫) মডেল : Luminous Eco Watt Neo 700 12V IPS, মূল্য : ৯,০০০ টাকা, ক্যাপাসিটি : ৬০০ VA
(৬) মডেল : Luminous Eco 1050 মূল্য : ১১,৫০০ টাকা
(৭) মডেল : Eco Watt Neo 1250 মূল্য : ১৩,৫০০ টাকা ক্যাপাসিটি : ১১০০ VA
(৮) মডেল : Luminous Icon 1100 মূল্য : ১৯,৫০০ টাকা ক্যাপাসিটি : ৯০০ VA
(৯) মডেল : Su-Kam Falcon Eco 1000Va মূল্য : ১০,৫০০ টাকা, ক্যাপাসিটি : ১০০০ VA
(১০) মডেল : Walton High Voltage Ips WVS-600 SD মূল্য : ১,২০০ টাকা খুব কম দামে ভালো মানের একটি আইপিএস।
(১১) মডেল : Walton High Super Ips WVS-1000 SD মূল্য : ৩,৩০০ টাকা
(১২) মডেল : Walton Super WVS-1000SDR80V মূল্য : ৩,৮৯০ টাকা
(১৩) মডেল : Walton SUPREME-2100JV (IPS) মূল্য : ৩,৯০০ টাকা
আইপিএস কি ও কেন আইপিএস প্রয়োজন
প্রিয়, বন্ধুরা আপনারা জানেন যে বর্তমানে লোডশেডিং আমাদের দেশের প্রচুর পরিমানে হচ্ছে। যার কারনে আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে এর উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ছে। আমাদের দেশে কত দিন এ লোডশেডিং থাকবে এটা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। লোডশেডিং থেকে মুক্তি পাবার জন্য অনেকে বর্তমানে আইপিএস (IPS) কিনতে চান। আপনারা অনেকেই জানেন যে, আইপিএস (IPS) মূলত ডিসি (DC) থেকে এসি (AC) মাধ্যমে ব্যাট্যারিতে শক্তি সঞ্চয় করে থাকে। তা বিদ্যুৎ চলে যাবার পরে আমরা যখন ব্যবহার করি তখন তা AC আকারে (এসি) বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে। এই গরমে কেউ পাখা চালানোর জন্য, কেউবা লাইট, কেউবা কম্পিউটার চালানোর জন্য IPS (আইপিএস) ব্যবহার করার জন্য IPS ক্রয় করতে চান। আজকের আলোচনা থেকে আপনি আইপিএস এর দাম ২০২৩ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সহজ কথায় প্রকাশ করলে IPS (আইপিএস) এর মানে দাড়ায় বিদ্যুৎ (কারেন্ট) এর ব্যাকআপ( কারেন্ট এর বিকল্প) পাওয়ার। আইপিএস এর মূল্য অর্থ হলো ইন্সট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই। তাহলে এই অর্থ প্রকাশ পায় যে IPS ( আইপিএস) এ ডিসি বিদ্যুৎ (DC) সংরক্ষিত হয়ে থাকে। যখন লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ চলে যায় তখন ফ্যান, লাইট ইত্যাদি ইলেকট্রনিক জিনিস আইপিএস( IPS) এর মাধ্যমে চালানো (ব্যবহার) করা যায়। সাধারণত আমরা দেখে থাকি বাসা বাড়িতে লাইট ও ফ্যান চালানোর জন্য IPS এর বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। IPS (আইপিএস) দিয়ে সাধারণত লাইট, ফ্যান, কম্পিউটার, টিভি ও এসি (Ac) ও ব্যবহার করা যায়।
কোন আইপিএস ভালো ২০২৩
বর্তমানে বাজারে বেশ কিছু কোম্পানি IPS (আইপিএস) এর ব্যবসা শুরু করেছে। এর মধ্যে কিছু কোম্পানি রয়েছে যারা ভালো সেবা দিচ্ছেন। বর্তমানে জনপ্রিয় কয়েকটি আইপিএস কোম্পানি নাম হলো রহিম আফরোজ,হ্যামকো,সনি,স্যামসাং,অনিক, নাভানা, সিঙ্গার,বাটারফ্লাই, ফিলিপস। এই কম্পানি গুলো ছোট, মাঝারি, বড় সব ধরনের৷ আইপিএস বিক্রি করে থাকে। তবে একটা কথা না বললেই নয় বর্তমানে দেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে যে আইপিএস কোম্পানি রয়েছে সে কোম্পানির নাম রহিম আফরোজ (আইপিএস এর দাম ২০২৩)। তাছাড়া বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোম্পানি ভালো মানের সেবা প্রদান করছে ও ক্রেতাদের মন জয় করে নিচ্ছে।
আরো পড়ুন: চার্জার ফ্যান এর দাম ২০২৩
অনেক প্রতিষ্ঠান মূলত অর্ডার নিয়ে হাতে বানিয়ে দিয়ে থাকে আইপিএস। সেক্ষেত্রে ব্যান্ডের আইপিএস এর থেকে হাতে বানানো আইপিএস এর দাম কম হয় ও স্থায়িত্ব ( বয়সকাল) কম হয় তাই দেখা যায়। সাধরনত ব্যান্ডের যে সকল আইপিএস আছে তারা মূলত আইপিএস এর উপর ১ থেকে ২ বছরের গ্যারান্টি ও ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। আপনি যদি ব্যান্ডের আইপিএস কিনতে বা ক্রয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে শোরুমে যেতে হবে। আপনাকে মাথায় রাখতে হবে যে আইপিএস সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকে।
- ইলেকট্রণিক আইপিএস
- সোলার আইপিএস
আপনাকে মূলত এ বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে যে আপনি কোন ধরনের আইপিস ব্যবহার করবেন। মূলত এই দুই ধরনের আইপিএস ভালো হয়ে থাকে। এ বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
ইলেকট্রনিক আইপিএস ও সোলার আইপিএস
ইলেকট্রনিক আইপিএস মূলত বিদ্যুৎ লাইন হিসেবে চার্জার দ্বারা সংযোগ করা হয়ে থাকে। এটি মূলত বিদ্যুৎ যখন থাকে তখন চার্জ হয় এবং যখন বিদ্যুৎ(কারেন্ট) চলে যায় তখন অটোমেটিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। োআমরা এই পোস্টে উপরে উল্লেখ করেছিলাম যে ইলেকট্রনিক্স আইপিএস মূলত এসি বিদ্যুৎ (কারেন্ট) থেকে ডিসি বিদ্যুতে (কারেন্টে) পরিবর্তিত করে । এদিকে সোলার আইপিএস হলো এক ধরনের আইপিএ যা সূর্যের তাপে চার্জ হয় যাকে আমরা সৌর বিদ্যুৎ বলে থাকি। সেহেতু এই আইপিএস ব্যবহার করতে কোন রকম বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় না সে ক্ষেত্রে সোলার আইপিএস দিনে চার্জ হয় এবং রাত্রে এটি অনেকে ব্যবহার করে থাকে তাছাড়া এই আইপিএস সব সময় ব্যবহার করা যায় । এটি মূলত অটোমেটিকভাবে চালু হয়ে থাকে না এটি ম্যানুয়ালি চালু করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনাকে আইপিএস এর দাম ২০২৩ সম্পর্কে জানতে হবে।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, সঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News পেজ)